কিভাবে শুরু করবেন খেজুরের ব্যবসা

কিভাবে শুরু করবেন খেজুরের ব্যবসা


Posted on: 2021-04-14 15:03:05 | Posted by: eibbuy.com
কিভাবে শুরু করবেন খেজুরের ব্যবসা

বর্তমান বাংলাদেশে খেজুরের ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নির্দিষ্ট কয়েকটি  জাতের খেজুরের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে যে খেজুরের বাজার রয়েছে তার সিংহভাগ বেচাকেনা রমজানকে ঘিরেই হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর খেজুরের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন, এবং শুধু রমজান মাসেই খেজুরের চাহিদা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টন। অনেক ব্যবসায়ীরা শুধু রমজান মাসের আগেই এ ব্যবসা করে থাকেন। তাই বলে এর চাহিদা যে শুধু রমজান মাসেই থাকে এমনটি নয়। বছরের অন্যান্য সময়েও এর চাহিদা প্রচুর এবং চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকের মাথায় হয়ত খেজুর নিয়ে একটু ভিন্নরকম ব্যবসা করার আইডিয়া উঁকি মেরেছে কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে শুরু করতে পারেন নি। আবার অনেকে শুরু করে ছেড়ে দিয়েছেন। আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে শুরু করবেন খেজুরের ব্যবসা। কিভাবে এই ব্যবসাকে বড় করবেন? এই ব্যবসা করতে কত টাকা পুঁজি প্রয়োজন হবে এবং আর কি কি দরকার হবে? কোন জাতের খেজুরের ব্যবসা করলে বেশি লাভবান হবেন?   কিভাবে অন্যদের থেকে ভিন্ন ভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করবেন?.....

খেজুরের উপকারিতা যেমন অতুলনীয় তেমনি স্বাদও। খেজুর পছন্দ করেনা এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। আর পবিত্র রমজান মাস খেজুর ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। বর্তমানে রমজানের আগে পরে ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে খেজুরের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যায়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তারা ব্যবসা ছেড়ে দেন। তার মূল কারণ হল তারা ব্যবসাটি ভালভাবে ধরতে পারেনা। আচ্ছা এখন আপনি কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন? তার আগে দেখতে হবে আপনার বর্তমান অবস্থা কি? যারা খেজুরের ব্যবসায় একেবারে নতুন অর্থাৎ অনলাইন অফলাইনে কোথাও এ ব্যবসা আগে করেনি তাদের শুরু করার ধরন আর যারা এর আগেও ব্যবসা করেছে অথবা বর্তমানেও অন্যান্য ফলের ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের খেজুরের ব্যবসা শুরু করার ধরন ভিন্ন হবে। যারা এর আগে কখনও খেজুরের ব্যবসা করেনি তারা কিভাবে শুরু করবে সেটা আগে বলি।
ধরুন আপনার অফলাইনে কোনো দোকান বা অফিস অথবা গুদামঘর এগুলো কিছুই নেই। আপনার হাতে ১৫-২০ হাজার টাকাও আছে। কোনো সমস্যা নেই এই অল্প টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন। তার আগে আপনাকে খেজুরের কোনো পাইকারি ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে নিতে হবে। আপনি তার কাছ থেকে অল্প অল্প করে খেজুর কিনবেন। ধরুন ১০ থেকে ১৫ কেজি খেজুর একসাথে কিনবেন। তারপর প্যাকেটে  একটু পরিবর্তন আনবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে স্টিকারও লাগাতে পারেন। তারপর একটু দামি যে খেজুর থাকে সেগুলো ছোট বক্সে রাখবেন। ১/২ কেজি এবং ১ কেজি খেজুর ধরে এধরনের বক্স নিবেন। বক্সগুলো সচ্ছ থাকতে হবে যাতে ভিতরের খেজুর দেখা যায়। বক্সের উপরে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম যেনো থাকে। বক্সের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ তারিখ  উল্লেখ করবেন। এ ব্যবসা শুরু করতে আপনার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হলেই চলবে।  এবার আসি কাস্টমার পাবেন কোথায়। এটা কিন্তু অনলাইন নির্ভর ব্যবসা হবে কারন আপনার অফলাইনে কোনো দোকান নেই। আপনি কার্ড এবং লিফলেট ছাপাতে পারেন যেখানে ছবিসহ খেজুরের দাম এবং অন্যান্য কন্ডিশন উল্লেখিত থাকবে। লিফলেট বেশি প্রচার করবেন পরিচিত জনদের কাছে কারণ পরিচিতজনদের কাছে আপনি মোটামুটি বিশস্ত। আর মেয়াদোত্তীর্ণ বা খারাপ পন্য বিক্রির চিন্তাও মাথায় আনবেন না। আপনি যদি আজওয়া খেজুর বিক্রি করেন তাহলে অরিজিনালটাই দিবেন। এভাবে সকল পন্যই নির্ভেজাল রাখবেন। তারপর আসি, যাদের ইতিমধ্যে কোনো ফলের দোকান আছে তারা কিভাবে এ ব্যবসা করবে?
যাদের ফলের দোকান আছে তারা অন্যান্য ফলের পাশাপাশি খেজুর দোকানে উঠাবে। কিন্তু এতে তারা অতিরিক্ত কাস্টমার পাবেনা। অতিরিক্ত কাস্টমার পাওয়ার জন্য আপনার ইন্টারনেটকে ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুকে আপনার দোকানের নামে পেইজ খুলতে হবে। সেখানে খেজুরের বিভিন্ন অফার এবং খেজুরের দাম সম্পর্কিত পোস্ট  এবং ভিডিও আপলোড দিবেন। শুধু খেজুর নয় সেখানে অন্যান্য ফলও বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক অনলাইনে বেচাকেনার জন্য বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। সুতরাং এটাকে কাজে লাগাতে হবে। পেইজে খেজুর সহ অন্যান্য ফলের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম নিয়েও নিয়মিত পোস্ট দিবেন। আর কাস্টমার পেতে অবশ্যই পোস্ট বুস্ট করতে হবে।

খেজুরের কিন্তু অনেকগুলো জাত রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হল... আজওয়া, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি,বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম ইত্যাদি। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল আজওয়া খেজুর। বাংলাদেশেও এ খেজুরের চাহিদা বেশি তবে দামও একটু বেশি।
বাংলাদেশে যে সকল খেজুর পাওয়া যায় তার দাম কেজিপ্রতি ৭০৳ থেকে ৩০০০৳ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কোথায় পাইকারি খেজুর পাবেন?

বাংলাদেশে খেজুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হল ঢাকার বাদামতলী। আপনি চাইলে সেখান থেকে পাইকারি খেজুর ক্রয় করে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে যেহেতু আজওয়া,  আনবারা, সাফাওয়ি খেজুরের চাহিদা বেশি এবং দামও ভালো পাওয়া যায় তাই এইসব খেজুরের ব্যবসা করলে বেশি লাভবান হবেন। শুকনো খেজুরের চাহিদাও কম নয়। তাই শুকনো খেজুরের ব্যবসাও করতে পারেন। আপনি যদি খেজুর পাইকারি বিক্রি করতে চান তাহলে আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে খেজুরের পাইকারি বিক্রেতারা খেজুর বিক্রিও করে থাকেন। আপনি চাইলে সেখান থেকেও কিনতে পারেন।

আজকের আলেচনা নিয়ে কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js